বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

ফোন হারিয়ে গেলে কি করবো? মোবাইল হারিয়ে গেলে করণীয় কি? বা চুরি হয়ে গেলে?

অনেকের #অ্যান্ড্রয়েড ফোন হুট করে হারিয়ে
যেতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে থাকা
মূল্যবান তথ্য সুরক্ষায় দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তা
না হলে স্মার্টফোন কোনো দুর্বৃত্তের হাতে
পড়লে হয়রানির শিকার হতে পারেন। তাই
স্মার্টফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে সেটি
খোঁজার পাশাপাশি গুগলের সাহায্য নিতে পারেন।
জেনে নিন ফোন হারানোর সঙ্গে সঙ্গে যা
করবেন:
*অন্য কোনো স্মার্টফোন বা পিসি থেকে
গুগলে ফাইন্ড মাই ফোন (Find my phone) লিখুন।

*গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইনইন করুন। যে ফোন
হারিয়েছে সে ফোনে ব্যবহৃত গুগল অ্যাকাউন্ট
দিয়ে সাইনইন করতে হবে।

*গুগল আপনাকে আপনার ডিভাইসের সর্বশেষ
অবস্থান জানিয়ে দেবে।

*আপনার ফোনের অবস্থান শনাক্ত হলে আপনি তা
দূরে থেকে কল দিতে পারেন। এ জন্য প্লে
সাউন্ড অপশনে ক্লিক করতে হবে। ফোন
সাইলেন্ট বা ভাইব্রেট মোডে থাকলেও এতে ৫
মিনিট পূর্ণ ভলিউমে শব্দ হবে। অবশ্য যদি ফোনটি
চুরি হয়ে থাকে তবে শব্দ না করে দূর থেকে
ফোন লক করে দিতে পারেন।

ফোন লক করতে হলে:
*আপনি যদি হারানো ফোনটি দূর থেকে লক
করতে চান তবে আপনাকে শুরুতে অন্য ফোন
থেকে android.com/find এখানে যেতে হবে।
এতে হারানো ফোনে ব্যবহৃত গুগল অ্যাকাউন্ট
দিয়ে সাইন ইন করতে হবে।

* আপনি যদি একাধিক ডিভাইস ব্যবহার করে থাকেন
তবে যে ডিভাইসটি হারিয়েছে তা নির্বাচন করতে
হবে। একাধিক প্রোফাইল থাকলে মূল প্রোফাইল
ব্যবহার করে তাতে সাইনইন করতে হবে।

* ডিভাইস খুঁজে পাওয়া না গেলেও এর সর্বশেষ
অবস্থান আপনি জানতে পারবেন।

* এখানে আপনি Enable lock & erase অপশনে
ক্লিক করে ফোনে লক করে দেওয়ার সুবিধা
পাবেন। চাইলে ফোনে আপনার পছন্দের
পাসওয়ার্ড, প্যাটার্ন লক দিতে পারবেন। লক স্ক্রিনে
বার্তা বা ফোন নম্বর দেখাতে পারবেন।

* মুছে ফেললে আপনার ডিভাইসে যত ডেটা
আছে তা মুছে যাবে। কিন্তু এসডি কার্ডের তথ্য
মুছবে না। তবে তথ্য মুছে দিলে ফাইন্ড মাই ডিভাইস
অপশনটি আর কাজ করবে না।

মনে রাখতে হবে, Find my phone অপশনটি
কেবল ফোন চালু থাকলে এবং তাতে ইন্টারনেট
সংযোগ চালু থাকলে তবেই কাজ করবে। তাই যাঁরা
হুটাহাট ফোন হারিয়ে ফেলেন তারা গুগল অ্যাকাউন্ট
দিয়ে ফোনে লগইন করার পাশাপাশি ইন্টারনেট
সংযোগের আওতায় থাকবেন। লোকেশন ও
ফাইন্ড মাই ডিভাইস অপশন চালু রাখবেন।

শনিবার, ১ জুন, ২০১৯

এক হাজার বছরের চেয়েও উত্তম আজকের এই রাত।

রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস, শবে কদর কোরআন নাজিলের রাত। এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মুকাররমার জাবালে রহমত, তথা হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে ফেরেশতাদের সরদার হজরত জিবরাইল (আ.)–এর মাধ্যমে বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতি মহাগ্রন্থ আল–কোরআন অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রমজান মাস! যে মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে মানবের দিশারিরূপে ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শন হিসেবে’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৫)। ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি মাহাত্ম্যপূর্ণ রজনীতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় রাত্রি কী? মহিমান্বিত নিশি সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেয়। সে রাত্রিতে ফেরেশতাগণ রুহুল কুদুস হজরত জিবরাইল (আ.) সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন; তাঁদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষা উদয় পর্যন্ত’ (সুরা-৯৭ কদর, আয়াত: ১-৫)। আরবিতে ‘লাইলাতুল কদর’–এর ফারসি হলো শবে কদর। অর্থ সম্মানিত মর্যাদাপূর্ণ ও মহিমান্বিত, সম্ভাবনাময়, ভাগ্যনির্ধারণী রজনী।
এক শ আসমানি সহিফা, চারখানা কিতাবসহ মোট এক শ চারটি কিতাবের মধ্যে কোরআন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। এই কিতাব নাজিল হয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, নবীগণের ইমাম, রাসুলদের সরদার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতি। এই কোরআনের স্পর্শ বড়ই সৌভাগ্যের। হজরত জিবরাইল (আ.) কোরআন বহন করেই ফেরেশতাদের সরদার হওয়ার গৌরব লাভ করেছেন। মরুর দেশ ‘জাজিরাতুল আরব’ এই কোরআনের স্পর্শেই পবিত্র আরব ভূমির সম্মান লাভ করেছে। অলক্ষুনে ও দুর্ভোগালয় খ্যাত ‘ইয়াসরিব’ এই কোরআনের বরকতেই পুণ্য ভূমি ‘মদিনা মুনাওয়ারা’র সম্মানে ধন্য হয়েছে। পাপের আকর শিরক ও কুফরের শীর্ষ তীর্থস্থান ‘বাক্কা’ এই কোরআনের কল্যাণে পবিত্র মক্কা নগরীতে রূপান্তরিত হয়েছে। এই কোরআনের পরশে স্বল্পমূল্য কাপড়ের ‘গিলাফ’ বুকে জড়ানোর সম্মান পাচ্ছে। এই কোরআনের ছোঁয়ায় সাধারণ কাঠের ‘রেহাল’ সম্মানের চুমু পাচ্ছে। সর্বোপরি কোরআনের সংস্পর্শে একটি সাধারণ রাত ‘লাইলাতুল কদর’ বা ‘শবে কদর’ রজনীর সম্মানে বিভূষিত হয়েছে। কোরআনের সঙ্গে যাঁর যতটুকু সম্পর্ক ও সংস্পর্শ থাকবে, তিনি ততটুকু সম্মানিত ও মর্যাদার অধিকারী হবেন। প্রিয় হাবিব (সা.) বলেন, ‘কোরআনওয়ালাই আল্লাহওয়ালা এবং তাঁর প্রিয় ব্যক্তি’ (বুখারি)। ‘যার অন্তরে কোরআনের সামান্যতম অংশও নেই, সে যেন এক বিরান বাড়ি’ (বুখারি ও মুসলিম)।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর সন্ধান করো’ (মুসলিম)। এ রাতগুলো হলো ২১,২৩, ২৫,২৭ ও ২৯। আরবিতে দিনের আগে রাত গণনা করা হয়। অর্থাৎ ২০,২২, ২৪,২৬ ও ২৮ রমজান দিবাগত রাতসমূহ। মুফাসসিরিনে কিরাম বলেন, আরবিতে ‘লাইলাতুল কদর’ শব্দদ্বয়ে ৯টি হরফ বা বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে ‘লাইলাতুল কদর’ শব্দদ্বয় তিন তিনবার রয়েছে; ৯–কে ৩ দিয়ে গুণ করলে বা ৯–কে ৩ বার যোগ করলে ২৭ হয়, তাই ২৭ রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। (তাফসিরে মাজহারি)।
হজরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.) ! আমি যদি লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে আমি ওই রাতে আল্লাহর কাছে কী দোয়া করব?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি বলবে, “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি। হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করা পছন্দ করেন; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন। ”’ (ইবনে মাজা, অস-সিলসিলাতুস সহিহাহ, নাসিরুদ্দিন আলবানি)। সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে; তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে’ (বুখারি শরিফ, ইমান অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ২৫, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৯-৩০, হাদিস: ৩৪)।
শবে কদরের বিশেষ আমলসমূহ হলো নফল নামাজ-তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলিল মাসজিদ, আউওয়াবিন, তাহাজ্জুদ, ছলাতুত তাসবিহ, তাওবার নামাজ, সলাতুল হাজাত, সলাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল ইত্যাদি পড়া। সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুজ্যাম্মিল, সুরা মুদ্দাচ্ছির, সুরা ইয়া-সিন, সুরা ত-হা, সুরা আর রহমান ও অন্যান্য ফজিলতের সুরা তিলাওয়াত করা; দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া; তাওবা ইস্তিগফার অধিক পরিমাণে করা; দোয়া কালাম, তাসবিহ তাহলিল, জিকির আসকার ইত্যাদি করা।
শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী: বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব ও আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজমের সহকারী অধ্যাপক 

ফেসবুকে বেশি বেশি লাইক ও কমেন্ট পাওয়ার উপায়।



সারকথাঃ লাইক পেতে চাওয়া খারাপ কিছু নয়। খারাপ হলো, লাইক পাওয়ার নেশায় পেয়ে বসা। এটাই মূল ভয়। বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমের ধারা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, লাইক পাওয়ার এই আকাঙ্ক্ষা থেকে অনেকেই এমন অনেক কিছু করছেন, যা ঠিক নয়। যা হয়তো আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে মেলে না। আবার যা তাঁর নিজের জন্য, সমাজের জন্যও ভুল বার্তা দেয়।
আবার এ-ও ঠিক, লাইকের মাপকাঠি দিয়ে এখন সবকিছু বিচার করার প্রবণতাও তৈরি হয়েছে। এক অভিনেতা যদি অন্য অভিনেতার থেকে বেশি লাইক পান তাঁর কোনো পোস্টে; তার মানেই এমন নয়, লাইক বেশি পাওয়া অভিনেতাটিই ভালো। কারণ, দেখা গেছে, লাইকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষটির পেশার যোগসূত্র থাকলেও সেটি তত বড় নয় যে তা মাপকাঠি হয়ে উঠতে পারে; বরং সামাজিক মাধ্যমে সেই ব্যক্তিটি কী পোস্ট দিচ্ছেন, সেটিই লাইকসংখ্যাকে প্রভাবিত করে।
লাইকের কারিগরি একটি দিকও আছে। ফেসবুক কীভাবে কোন তথ্য কার কাছে পৌঁছাবে, এর একটি প্রোগ্রাম করা থাকে। ফেসবুকের এই এলগরিদম নিয়ত পাল্টায়ও। যেমন ফেসবুক এখন চায় ভিডিও ও ছবিকে বেশি গুরুত্ব দিতে। এমন অনেক নেপথ্য কারিগরি দিক আছে, যা আমরা জানি না। আবার ফেসবুকে লাইক কেন মানুষ দেয়, এ নিয়ে বেশ কিছু মনস্তাত্ত্বিক গবেষণাও কিন্তু হয়েছে।
স্ট্যাটাস বা পোস্টের ধরন
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষক-ফার্ম ‘কিসমেট্রিকস’-এর ফেসবুক নিয়ে গবেষণায় কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। ফেসবুকে ছবি পোস্ট করলে সাধারণত ৫৩ শতাংশ বেশি লাইক পাওয়া যায়। ১০৪ শতাংশ কমেন্টস ও ৮৪ শতাংশ লাইক বেশি পাওয়া যায় ছবিভিত্তিক স্ট্যাটাসে। পোস্টে লেখার ব্যাপ্তি নিয়েও কিছু পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ন্যূনতম ৮০ শব্দের মধ্যে পোস্ট দিলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ৬৬ শতাংশ সম্পৃক্ততা বাড়ে।
নিয়ম করে প্রতিদিন দু-একবার পোস্ট করলে ‘লাইক’-এর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে। তবে নিরপেক্ষ পোস্টে মানুষ লাইক কম দেয়। নেতিবাচক পোস্ট কিংবা মানবিক কোনো ব্যাপারে মানুষের লাইক দেওয়ার প্রবণতা বেশি। এ ছাড়া সপ্তাহে ন্যূনতম এক থেকে চারবার পোস্ট করলে ৭১ শতাংশ বেশি সাড়া পাবেন বন্ধু কিংবা ফলোয়ারদের কাছ থেকে।
ফেসবুক ইদানীং ভিডিওকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আপনার মুঠোফোনটিকে ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফেসবুকের যেকোনো পোস্টের ক্ষেত্রে একটি সূত্র সব সময় মনে রাখবেন: কী পোস্ট করব, এটা একবার ভাবার সময় দশবার ভাববেন কী পোস্ট করব না।
চাই বুদ্ধির ঝিলিক
বিখ্যাত কেউ ফেসবুকে যা-ই পোস্ট করুক, তা ‘ভাইরাল’ হতে সময় লাগে না। কিন্তু আমজনতার ক্ষেত্রে এ কথা খাটে না। আম-আদমি থেকে নিজেকে আলাদা করতে হলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে একটু বুদ্ধি দিয়ে।
১. ‘লাইক’ কথাটার গুরুত্ব বুঝে লাইক দিন। প্রচলিত ধারণা হলো, ফেসবুকে জনপ্রিয় হতে সব ধরনের পোস্টে লাইক দিয়ে যাওয়া। এতে নিজের অ্যাকাউন্টেও বেশি বেশি লাইক ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা দেখেন অনেকে। কিন্তু এটা একেবারেই ভুল ধারণা। অপ্রীতিকর, বিতর্কিত কোনো পেজ কিংবা কারও পোস্টে লাইক দিলে উল্টো আপনার অ্যাকাউন্টে লাইকের সংখ্যা কমতে পারে! কেননা, মানুষ তখন ভেবে নেবে আপনার ব্যক্তিত্ব কিংবা চিন্তাচেতনায় সমস্যা আছে।
২. ফেসবুক পোস্টের ক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত, যেটা আপনার ভালো লাগছে, সেটা আরেকজনের ভালো না-ও লাগতে পারে। এ কারণে সবকিছুই ফেসবুকে পোস্ট করা ঠিক নয়। বিরক্তিকর নয়, ব্যতিক্রমী পোস্ট করুন। মানুষ ব্যতিক্রমী যেকোনো কিছুই পছন্দ করে। সেটা হতে পারে মজা, হাসি-কান্না কিংবা যেকোনো কিছু; শুধু ব্যতিক্রমী হতে হবে।
৩. মানুষ খবর পেতে ভালোবাসে, খবর দিতেও ভালোবাসে। এখন তো যেকোনো খবর সংবাদমাধ্যমের চেয়ে ফেসবুকেই আগে পাওয়া যায়। এ কারণে বিশ্বস্ত সূত্রের নানা ধরনের খবর শেয়ার দিন। পাশাপাশি খবর নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত মতামতও লিখুন। এতে মানুষ আপনাকে আলাদা করে চিনবে, গুরুত্ব দেবে। লিখতে পারেন সাম্প্রতিক আলোচিত যেকোনো বিষয় নিয়ে। সেটা হতে পারে খেলা, রাজনীতি, সংস্কৃতি কিংবা বিনোদন জগৎ নিয়ে। তবে সামাজিক যেকোনো সমস্যা নিয়ে লেখা মানুষ পছন্দ করে।
৪. বিশেষ দিনকে বিশেষভাবে ব্যবহার করুন। ধরুন, আপনার বন্ধুর জন্মদিন। এমনিতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা তো জানাবেনই, পারলে তাঁকে নিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু করুন। আপনার বন্ধুর জন্মদিনে কোন কোন বিখ্যাত মানুষ জন্মেছে, তা খুঁজে বের করে মজার কিছু লিখতে পারেন। মনে রাখবেন, ফেসবুকে সৃজনশীলতার আলাদা কদর আছে।